কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তিমির পর এবার ভেসে এসেছে ডলফিনের মৃত বাচ্চা।
সোমবার বিকেলের দিকে জনশূন্য সৈকতের কলাতলী সাইমন বিচ পয়েন্টে বাচ্চা ডলফিনের মৃতদেহটি দেখতে পায় সৈকতকর্মী ও লাইফ গার্ডের সদস্যরা। এর আনুমানিক দৈর্ঘ্য ছিল ৮ ফুট প্রস্থ ৫ ফুট।
পরে সন্ধ্যার সময় ডলফিনের বাচ্চাটিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সৈকতের একপাশে পুঁতে ফেলা হয়।
ভেসে আসা ডলফিনের বাচ্চার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল জানিয়েছেন সৈকতকর্মী ও লাইফগার্ডের কর্মীরা।
লাইফগার্ড কর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সৈকতে হাঁটার সময় দূর থেকে কিছু একটা দেখতে পাই। কাছে এসে দেখি একটি ডলফিনের বাচ্চা মরে পড়ে আছে। তার শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল এবং প্রচুর রক্ত বের হচ্ছিল।’
সৈকতকর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডলফিনের বাচ্চাটিকে দেখে মনে হয়েছে আনুমানিক ২/৪ দিন আগে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে। শরীরের কিছু অংশে পচন ধরেছিল।’
তিনি আরও জানান, সমদ্র সৈকতে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ডলফিনের বাচ্চাটিকে সৈকতের পাশে বালিয়াড়িতে পুতে ফেলা হয়েছে ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলার সংগঠন সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, সমুদ্রে অনিয়ন্ত্রিত নৌযান চলাচল ও তীব্র দূষণের কারণে একের পর এক ডলফিন ও তিমি মারা যাচ্ছে। এখনই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে সামুদ্রিক প্রাণিসম্পদ রক্ষা করা দুষ্কর হবে।
এর আগে কক্সবাজার সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্ট পরপর ৯ ও ১০ এপ্রিল সমুদ্র সৈকতে দুটি মৃত তিমি ভেসে আসে। এর মধ্যে একটি তিমির দৈর্ঘ্য ৪৪ ফুট ও প্রস্থ ২৬ ফুট ছিল। অন্য তিমিটির দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট ও প্রস্থ ছিল ১৪ ফুট।